ছেলে উপযুক্ত। বিয়ের বয়স হয়েছে। বিয়ে করার জন্য আর্থিক 💰, শারীরিক 🏋️, এবং মানসিক 💪 সক্ষমতা আছে, কিন্তু বাবা-মা বিয়ে দিতে চায় না। তাহলে উপযুক্ত ছেলেদের করণীয় কী?
![]() |
ছেলে উপযুক্ত, বাবা-মা বিয়ে না দিলে করণীয় কী? 🤔
❓ বিয়ের জন্য কি ছেলেদের অভিভাবক থাকা শর্ত?
❓ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে কি ছেলে গুনাহগার হবে?
👉 বিয়ের উপযুক্ত আর্থিক সক্ষমতা থাকা যে কোনো যুবকের জন্য অশ্লীলতা, অবৈধ যৌনাচার, ও নানা গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে; তাদের দ্রুত বিয়ে দেওয়া ফরজ। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের মাজহাব অনুযায়ী:
💬 ‘ছেলে-মেয়ে উভয়ের বিয়ে দেওয়া সামর্থ্যবান বাবার জন্য ওয়াজিব বা আবশ্যক।’
করণীয়:
1. আপনার বাবা-মা এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন 🗣️
বিয়ের জন্য তাদের রাজি করানোর চেষ্টা করুন।
পরিবারের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে বিয়েটা হলে, তা অতি উত্তম। এতে পারিবারিক সৌহার্দ্য ও সম্পর্ক অটুট থাকে। 🤝
2. বাবা-মা ও পরিবারের সম্মতি না দিলে ❌
নিজ সিদ্ধান্তে পছন্দনীয় মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে করুন।
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এভাবে বিয়েতে কোনো দোষ নেই, কারণ পুরুষের বিয়ের জন্য অভিভাবকের অনুমতি শর্ত নয়, তবে নারীর বিয়ের ক্ষেত্রে তা শর্ত।
3. পারিবারিক শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য আলাদা সংসার গড়ে তুলুন 🏡
ইসলামি শরিয়তে এটিও দোষণীয় নয়।
প্রশ্ন: সম্মতি ছাড়া বিয়ে করায় বাবা-মা কষ্ট পেলে কি ছেলে গুনাহগার হবে? 🤷♂️
ইসলাম মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালনের দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
ছেলে যদি দায়িত্ব যথাযথ পালন না করে তবে সে গুনাহগার হবে।
কিন্তু ইসলামিক বিধান মেনে পাপাচার থেকে বাঁচতে গিয়ে যদি ছেলে পরিবারের অমতে বিয়ে করে, তাতে বাবা-মা কষ্ট পেলে, তবে ছেলে গুনাহগার হবে না। কারণ সে আল্লাহর নিষেধকৃত কোনো কাজ করেনি; বরং নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর জন্য বৈধভাবে বিয়ে করেছে। 🌟
মা-বাবার করণীয়:
গুনাহমুক্ত জীবন গঠনে সহযোগিতা করা উত্তম।
মা-বাবার কর্তব্য হলো ছেলের আগ্রহ ও পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিয়ের ব্যাপারে সুপরামর্শ দেওয়া এবং সাহায্য-সহযোগিতা করা। 🤗
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী, ছেলে-মেয়ে উভয়ের বিয়ে দেওয়া সামর্থ্যবান বাবার জন্য ওয়াজিব।
উপসংহার:
সুতরাং, গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত ছেলে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করে, তবে তাতে ছেলের কোনো গুনাহ হবে না। 🕊️
❤️ হারাম ছেড়ে বিয়ের চাঁদ উঠুক প্রতিটি সঙ্গীহীন জীবনে।
🌸 হালাল পরশে ভরে উঠুক প্রতিটি অবিবাহিত ভাই বোনের অন্তর।
ইসলামি শিক্ষায় বিয়ের প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্ক গড়ার মাধ্যম: বিয়ের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং পরিবারগুলো একত্রিত হয়।
নৈতিকতা ও সুশৃঙ্খলতা: বিয়ের ফলে যুবকদের মধ্যে নৈতিকতা ও সুশৃঙ্খলতা বৃদ্ধি পায়।
সন্তানের জন্ম: বিয়ের মাধ্যমে বৈধ সন্তান জন্ম হয়, যা পরিবারের উন্নয়নে সহায়তা করে।
উপকারী দিকসমূহ:
সামাজিক নিরাপত্তা: বিয়ের মাধ্যমে একে অপরকে সহযোগিতা করা যায়, যা সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ায়।
মনের শান্তি: বৈধ সম্পর্ক মনের শান্তি এনে দেয় এবং মানসিক স্থিতিশীলতা তৈরি করে।
একসাথে জীবনের পথে: বিয়ের মাধ্যমে দুইজন মিলে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে।
🌈 সুতরাং, উপযুক্ত ছেলেদের জন্য বিয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
0 Comments
Please Do Not Enter Any Spam Link In The Comment Box.